ঘরে বসেই তৈরি করুন নির্ভজাল দই।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা।
কারণ, আপনি নিজের হাতেই তৈরি করবেন।
আপনি যা দিয়ে তৈরি করবেন তাই হবে।

Avro Keyboard

Avro Keyboard, Bangla Type, অভ্র কী-বোর্ড, অভ্র বাংলা কী-বোর্ ড

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি ভাল আছেন। আজকে আপনাদের জন্য আলোচনা করব  Avro Keyboard, অভ্র কী-বোর্ড, অভ্র বাংলা কী-বোর্ড   ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ইনশাল্লাহুল আজিজ। কম্পিউটার দিয়ে অফিসিয়াল কাজ বেশির ভাগ ইংরেজিতে করা হয়। আবার বাংলায় লেখালেখির কাজ ও কম নয়।   
তাই বাংলা লেখার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী।  হয়তবা, কম্পিউটারের কাজ না জানা থাকার কারণে চাকরি করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে বলে অনেকে ধারণা করছে এবং বাস্তবতাও তাই বলে মনে হচ্ছে। কারণ প্রায় সব অফিসেই এখন কম্পিউটার ব্যবহার করছে।  এই জন্য প্রত্যেক চাকুরিজীবি এমন কি ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানেও কম্পিউটারের ব্যবহার বিদ্যমান। অনেকেই Bangla type বাংলা টাইপ) জানেন না। 
তাতে করে অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত লেখালেখির কাজ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেকের আবার দোকানে গিয়ে বা কম্পিউটারে বা টাইপ রাইটারের কাছ থেকে কাজ করে নিয়ে আসে। সেখানে যদি কাজের ভিড় থাকে তবে অল্প সময়ের কাজ কয়েক ঘন্টা লেগে যেতে পারে। 

আর নিজের জানা থাকলে নিজেই যেকোন সময় লিখে ফেলতে পারেন নিমিষেই। আসলে অভ্র সফটওয়্যারটি বাংলা টাইপে কম দক্ষদের জন্যই তৈরি। তাই যারা বাংলা টাইপ জানেন না তাদের জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আশা করি, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারবেন ইনশাল্লাহ। ওমা তৈফিকি ইল্লাবিল্লাহ।  

Avro Keyboard, Avro Bangla Keyboard, অভ্র কী-বোর্ড, অভ্র বাংলা কী-বোর্ড কি ? 

উত্তর : অভ্র বাংলা কীবোর্ড একধরণের বাংলা টাইপিং সফটওয়্যার। যা দ্বারা বাংলা টাইপ করা যায়। সবচেয়ে মজার কথা হলো এটা একদম কম অভিজ্ঞ লোক ব্যবহার করতে পারে। তাই এর জনপ্রিয় অনেক বেশি। বিশেষ করে সরকারি চাকুরীতে এর ব্যবহার অনেক বেশি। সরকারি অফিসিয়াল বাংলা লেখা গুলি Avro Keyboard বা Avro Bangla Keyboard সফটওয়্যারের মাধ্যমের হয়ে থাকে।   
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে Bangla Type ( বাংলা টাইপ) এর জন্য বিজয় বায়ান্ন বা বিজয় 52 সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যায়। এটি দ্বারা অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগত লেখালেখির কাজ বাংলায় করা হয়। যেখানে বিজয় বায়ান্ন ( Bijoy Bayanno )  তে ‘অ’ লিখতে শিফট (Shift এবং F) চাপতে।
 কিন্তু অভ্রতে লিখতে শিফট চাপতে হয় না।  অ অক্ষরটি তুলতে O চাপলেই হয়ে যায়। আ এবং া আকার তুলতে গেলে A অক্ষরটি চাপতে হয়। এখন কথা হলো কেমনে ওঠে আর ‘া’ কেমনে ওঠে ? ওয়ার্ড এর শুরুতে চাপলে আ এবং অক্ষরের পরে তুললে ‘া’ উঠে। 
আবার ‘ক’ তুলতে গেলে ইংরেজি অক্ষর K চাপতে হবে। কিন্তু ‘খ’ লিখতে গেলে KH চাপতে হবে। নিচে ভেঙ্গে ভেঙ্গে আলোচনা করা হলো:  Avro Keyboard, Bangla Type এর ক্ষেত্রে প্রথমত আমরা জানবো ব্যঞ্জন বর্ণ  বা অক্ষর সম্পর্কে : নিচে দেখুন বিস্তারিত আলোচনা।  O = ,  ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর লেখার ক্ষেত্রে Keyboard এর Shift চেপে ধরে অক্ষর চাপতে হবে।
A = , া ( আকার  ) I = ই বা  ি (ই-কার) (শব্দের প্রথমে A চাপলে আ এবং পরে চাপলে ‘া’ উঠবে। শব্দের প্রথমে  I চাপলে ‘ই’ লেখা উঠবে। কিন্তু শব্দের বা বর্ণের শেষে চাপলে  ‘ ি’ লেখা উঠবে।  আবার     ী -  কার লিখতে ‍শিফট I চাপতে হবে।  
ক = k  এবং kh = খ G =   এবং gh চাপলে ‘’ উঠবে।  
Ng= চাপলে ‘ঙ’ উঠবে।  c = চ,  আবার ch= ছ অক্ষরটি উঠবে। 
 j = জ এবং jh = ঝ অক্ষর লেখা হবে।  NG = ঞ হবে।   T তে ‘ট’ অক্ষর উঠবে। কিন্তু  ‘ঠ’  এর জন্য Th চাপতে হবে।    D = ড অক্ষর এবং Dh = ঢ লেখা যাবে।  (শিফট চেপে ডি চাপলে বড় হাতের অক্ষর (Capital Letter ) এবং  shift না চাপলে ছোট হাতের অক্ষর উঠবে।  ণ = Shift N চাপলে হবে।   ত = t হবে, কিন্তু th চাপলে থ অক্ষরটি উঠবে।   দ = d ধ = dh চাপতে হবে। ন = n  প = p অক্ষর উঠবে এবং ফ এর জন্য ph ফ অক্ষরটি উঠবে।  ব = b হবে। কিন্তু   ভ লেখার জন্য bh বা vচাপতে হবে।   ম = m হবে।  য = z র = r ল = l  শ = sh, S চাপতে হবে। 
ষ = ‍Sh.  স এর জন্য s এবং হ এর জন্য h ড় = R, এবং ঢ় = Rh অক্ষর দ্বয় চাপা প্রয়োজন।    য় = এর জন্য ছোট হাতের অক্ষর y বা বড় হাতের অক্ষর Y চাপতে হবে। 
ৎ = t ং = ng  ঃ বাটনটি ইন্টারের কাছে আছে।  এটি সাধারণত বাংলায় লেখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং : ক্লোন টি সাধারণত ইংরেজি লেখার সময় ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া বাংলা লেখার সাথে :  লিখলে মানায় না।  ইংরেজির সাথে ব্যবহার করলে মানায় না।  লিখতে  গেলে  t এর উপরের বাটনে যেখানে    বা  6 আছে।  
ব্যঞ্জন বর্ণের কার বা ফলা লেখার ক্ষেত্রে যে সব অক্ষর গুলি চাপতে হবে তা নিচে বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দেওয়া হলো। আশা করি মনোযোগ দিয়ে শিখবেন এবং কাজ গুলি জেনে খুশি হবেন।  ্য- ফলা = y, Z ্র - ফলার ক্ষেত্রে r  রেফ লেখার জন্য rr চাপতে হবে।   
  ( দাঁড়ি তুলতে)  ডট ব্যবহার করতে হবে।  ( টাকা চিহ্ন টি তুলতে E এবং R এর পাশে 4 চাপতে হবে। তবে অবশ্য Shift চাপতে ভূলবেন না কিন্তু।  . ( ডট তুলতে Numpad) ব্যবহার করতে হবে।  : (কোলনের ক্ষেত্রে : ব্যবহার করতে হবে। )
বাংলা স্বর বর্ণের ক্ষেত্রে কার কিভাবে উঠাতে হবে সেই পদ্ধতিগুলি নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো।  ’ি’ (ই- কার তুলতে) i ী (ঈ-কার লিখতে) Shift I চাপা লাগবে। 
 ু ( উ - কার লেখতে গেলে) u এবং   ‍ূ ( ঊ - কারের জন্য) Shift চেপে U.  ৃ ( ঋ - কার) তুলতে rri ক্লিক করতে হবে।)  ’ে’ তুলতে e ’ৈ’ ( ঐ কার তুলতে OI এবং  ো ( ও - কার) তুলতে O ব্যবহার করতে হবে।  
এছাড়াও অংকের সংখ্যা গুলি তুলতে কীবোর্ডের যেসব কী গুলি ব্যবহার করতে হবে তা নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো :  
১ এর জন্য 1 ২ এর ক্ষেত্রে ইংরিজ 2 ৩ সংখ্যাটি তুলতে ৪ এর ক্ষেত্রে 4 সংখ্যাটির জন্য ৬ সংখ্যাটি তুলতে 6 লিখার জন্য 7 ৮ সংখ্যাটি লিখতে 8 এবং  ৯ লিখতে চাপতে হবে 9. 

বন্ধুরা, এভাবে কাজ গুলি গুরুত্ব সহকারে শিখলে ইনশাল্লঅহ ভাল টাইপ রাইটার হতে পারবেন বলে আমি মনে করি। আর কাজ ভাল পারলে প্রোমোশন(Promotion) ও  ইনশাল্লাহ তাড়াতারি হবে ইনশাল্লাহ। আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি আপনার জন্য সামান্যতম উপকারে আসে তবে, নিজেকেই কিছুটা ধন্য মনে করব ইনশাল্লাহ। 
পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। 

Next Post Previous Post

ঘরে বসেই তৈরি করুন নির্ভজাল দই।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা।
কারণ, আপনি নিজের হাতেই তৈরি করবেন।
আপনি যা দিয়ে তৈরি করবেন তাই হবে।

Your Label Post 2

5/LabelName/post-list

A

Translate

ঘরে বসেই তৈরি করুন নির্ভজাল দই।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা।
কারণ, আপনি নিজের হাতেই তৈরি করবেন।
আপনি যা দিয়ে তৈরি করবেন তাই হবে।

ঘরে বসেই তৈরি করুন নির্ভজাল দই।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা।
কারণ, আপনি নিজের হাতেই তৈরি করবেন।
আপনি যা দিয়ে তৈরি করবেন তাই হবে।