Bangla Type - Google Bangla Type


Bangla Type, Google Bangla Type, 

Online Bangla Typing : 

(বিজয় বাংলা টাইপিং এর জন্য)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বন্ধুরা কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা ভাল আছেন। আপনাদের অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাংলায় লেখালেখির করতে গিয়ে নানা রকম সমস্যায় পড়েন। 

আশা করি আপনি যদি একটু মনোযোগ দিয়ে অল্প কয়েক দিন চেষ্টা করেন তবে খুব কম সময়ের মধ্যে-ই ভাল টাইপ করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। 
যদি Bangla Type (বাংলা টাইপ ভাল করতে পারেন তবে ইংরেজির চাইতে বাংলায় বেশি টাইপ করতে পারবেন ইনশাল্লাহ এবং খুব ভাল লাগবে। আমার মনে হয় আমি ইংরেজি টাইপ (English Type) সর্বোচ্চ 30টি ওয়ার্ড (Word Type) করতে পারবো। আর বাংলায় প্রায় 50টি ওয়ার্ড (Word Type) করতে পারবো। বাংলা টাইপ করার মজাই আলাদা। 


কারণ, মাতৃভাষা হওয়ায় একটা পুরো বাক্য একবার দেখলেই টাইপ করতে পারবেন। কিন্তু ইংরেজির বেলায় বানান দেখতে হবে এই সেই সমস্যা। তাই আপনাদের জন্য Bangla Type, Google Bangla Type, Online Bangla Typing  বিজয় বাংলা টাইপিং এর জন্য পোস্টটি তৈরি করলাম। নিচে বিস্তারিত দেখুন।
Bangla Type : বাংলা টাইপ,  বিজয় বাংলা টাইপিং এর জন্য   


স্বরবর্ণ 11টি। যেমন- অ, আ, ই, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
Shift + F = অ G+ F      = আ G+ D = ই G+Shift+D = ঈ G+S = উ G+A = ঋ G+C= এ G+Shift+C= ঐ X= ও G+Shift+X= ঔ স্বর বর্ণের কার চিহ্ন গুলি লেখার নিয়ম : Bijoy Bangla Typing, বিজয় বাংলা টাইপিং এর ক্ষেত্রে স্বরবর্ণ এর কার চিহ্ন কিভাবে লিখবেন নিচে তা বিস্তারিত দেওয়া হলো।
F  =া (আকার)
D = ি (ই-কার)
Shift + D = ী (ঈ- কার)
S = ু (উ- কার) 
Shift + S = ূ (ঊ - কার) র্
A =ৃ ( ঋ- কার) 
C =ে এ কার
Shift+ C= ৈ - (ঐ - কার)
Shift + x= ৗ ( ঔ- কার ) 


ব্যঞ্জন বর্ণ এর ক্ষেত্রের লেখার নিয়ম :  Bijoy Bangla Typing, Online Bangla, বিজয় বাংলা টাইপিং এর ক্ষেত্রে স্বরবর্ণ এর কার চিহ্ন কিভাবে লিখবে নিচে তা বিস্তারিত দেওয়া হলো।
        
বন্ধুরা, ব্যঞ্জন বর্ণ লেখার ক্ষেত্রে উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে সবগুলি অক্ষর দেওয়া আছে। এখানে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখবেন যে, ক লিখতে গেলে যেমন J অক্ষর চাপতে হবে। তেমনি খ লিখতে গেলে Shift এবং J চাপতে হবে। আবার গ লিখতে গেলে কীবোর্ড থেকে ইংরেজি অক্ষর O চাপতে হবে। 

আবার ঘ লিখতে গেলে Shift এবং O চাপতে হবে। ঙ লিখতে কীবোর্ড এ ইংরেজি অক্ষর Y অক্ষরটি চাপতে হবে। আবার ঙ লিখতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই Q অক্ষর চাপতে হবে। তবে, ব্যতিক্রম হল Shift এবং Q চাপলে ং আসবে। মাইক্রোসফট অফিস (Microsoft Office) এর ক্ষেত্রে এই রুলস গুলি ফলো (Follow) করতে হবে। আবার ইন্টারনেটে বাংলা যদি বিজয় ইউনিকোড এর মাধ্যমে লেখেন তবে প্রায় একই (Same) নিয়ম মানতে হবে।

           ি (ই-কার), এ কার, ৈ-(ঐ- কার) লেখার সময় চাপলে এগুলি সরাসরি আসে না। এগুলি লিখে কোন অক্ষর না চাপা পর্যন্ত  ি (ই-কার), এ কার, ৈ-(ঐ- কার)  লেখা গুলি আসে না। তাই লেখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই তাড়াতাড়ি লিখতে পারবেন। অধিকাংশ অফিসেই বিজয় ইউনিকোড ব্যবহার করা হয়।

 আবার অভ্র কী- বোর্ড (Avro Keyboard) এর ব্যবহার ও কম নয়।  অবশ্যই মনে রাখবেন যে, বিজর ইনিকোড (ইন্টারনেটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে) এর ব্যবহার জরুরী। কিন্তু যারা টাইপ ভাল জানে না তাদের কোন রকম কাজ সারিয়ে নেওয়ার জন্য অভ্র কী- বোর্ড ব্যবহার করে থাকে। 
 
তাই ভাল টাইপ রাইটার হতে চাইলে অবশ্যই বিজয় ইউনিকোড  ইন্টারনেটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে) এর ব্যবহার জরুরী। আবার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word) এ বাংলা লেখার ক্ষেত্রে ফন্ট অপশনে গিয়ে SutonnyMJ (সুতোনী এম জে) সিলেক্ট করতে হবে। এবং বিজয়ে ক্লাসিক (Bijoy Classic) ব্যবহার করতে হবে।                                                                                                 ‍SutonnyMJ       Bijoy Classic Bijoy Classic & SutonnyMJ; Bijoy Keyboard; English Bangla Typing; Bangla Typing; Bijoy Unicode;

ব্যঞ্জন বর্ণ এর ফলা গুলি লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি ব্যবহার করা হয়। নিম্নে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
্র ( র- ফলা) লিখতে কী- বোর্ড এ ইংরেজি অক্ষর Z চাপতে হবে। আর শিফট Z চাপলে ্য - ( জ- ফলা) উঠবে। আর (রেফ) তুলতে Shift A চাপতে হবে। 
এবার আসি, বাংলায় যুক্তাক্ষর লেখার ক্ষেত্রে : যুক্তাক্ষর লেখার ক্ষেত্রে যে নিয়ম ব্যবহার করা হয় তার এক কথা সমস্ত যুক্তাক্ষর লিখতে পারবেন। তবে আপনাকে জানতে হবে কোন অক্ষরের সাথে কোন অক্ষর কিভাবে যু্ক্ত করতে হয়। যেমন ধরুন, আপনি ক্ষ লিখতে চাচ্ছেন। 

এটি লিখতে আপনাকে ক এবং ষ লিখতে হবে। উপরের অক্ষর চাপার পর G চেপে নিচের অক্ষরটি চাপলে যুক্তাক্ষর হয়ে যাবে সোজা কথা। শুধু এটা মনে রাখতে এক কথায় সমস্ত যুক্তাক্ষর লিখতে পারবেন অনায়েশেই। 

নিচের বিস্তারিত লিখে দেওয়া হলো- ক্ষ = ক এবং ষ,   ষ্ণ = ষ + ণ, ঙ্ক = ঙ + ক,  ঞ্ছ = ঞ + ছ,   হ্ম = হ + ম, ক্ত= ক এবং ত,ত্ত = ত+ত,  গ্ধ= গ + ধ,দ্ধ = দ + ধ,ঞ্চ= ঞ এবং চট্ট = ট + ট, ন্ড = ন + ড, ণ্ড = ণ + ড,ষ্ক = ষ + কহ্ণ = হ + ণ,দ্ব = দ + ব,  ন্দ্ব = ন + দ + ব, ত্থ = ত + থন্ন = ন + ন, গ্র = গ এবং র ফলা। এখানে জি চাপতে হবে না।গ্রু = গ +  ্র + ‍ু ,ভ্র = ভ এবং  ্র ( ভ এবং র - ফলা) ক্র = ক এবং শুধু র ফলা, স্ম = স জি ম, দ্ম = দ জি ম হৃ = হ এবং  ‍ৃ ,   হ্র = হ এবং ্্র (হ এবং র ফলা)  শু = শ এবং   ু ন্ধ = ন জি দ ক্ব = ক + ব ক্স = ক + সন্য = ন এবং য ফলা ন্র= ন এবং   ্র (র ফলা)ত্র = ত এবং র ফলা (ত্রিশ লিখতে এটা লাগে)  ঞ্ঝ = ঞ জি ঝ চ্ছ্‌ = চ জি ছস্থ = স জি থ ত্ত্ব= ত জি ত জি ব ঞ্জ = ঞ জি জ (যেমন- সিরাজগঞ্জ)জ্ঞ = জ জি ঞ (যেমন- বিজ্ঞান)ম্ভ = ম জি ভ       

বন্ধুরা, অবশ্য মনে রাখবেন, শুধু মাত্র যুক্ত অক্ষর লেখার ক্ষেত্রে দুটি অক্ষরের মাঝে জি চাপতে হয়। 

কিন্তু া,  ে,   ্র, ্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে বা কার বা ফলার ক্ষেত্রে জি চাপতে হয় না। যেমন - কাকা লিখতে গিয়ে যদি জি চাপি তাহলে হবে না। যেমন- কআ (কআ উঠল। ঠিক ভাবে উঠল না।) আবার প্র লিখতে প্্র (এখানে প জি   ্র দিলে প্্র হলো। 

আর যদি প লিখে   ্র ফলা লিখি তাহলে প্র হয়ে গেল।  ্য ফলার ক্ষেত্রেও তাই। এছাড়া  যদি শু লিখতে চাই তাহলে শ এবং  ু চাপতে হবে। দুটির মাঝে জি চাপা যাবে না। যেমন- যদি দুটির মাঝে জি চাপি তাহলে  এরকম হবে - শউ হবে। মানে ঠিক ভাবে হবে না। তাই যেভাবে লিখে দেওয়া হলো সেভাবে অনুসরণ করতে আপনার বাংলা লিখতে কোন সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ এবং তাড়াতাড়ি শিখতে পারবেন ইনশাল্লাহ। 

প্রতিদিন নিয়মিত যদি চেষ্টা করেন তো দেখবেন অল্প দিনের মধ্যে শিখে ফেলবেন। কারো কাছে যাওয়া লাগবে না ইনশাল্লাহ। মনে রাখবেন, আগামী দিনে কম্পিউটার শিক্ষা ছাড়া আপনার চাকরি থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাছাড়া চাকরি নিতে গেলে কম্পিউটার অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি নেই বললেই চলে। আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 


Next Post Previous Post