Computer Network

Computer Network - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট (Internet) কি বা কাকে বলে 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট (Computer Network) বলতে বুঝায় এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের আন্ত:সংযোগ স্থাপন, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি। এর ফলে তথ্য, বিভিন্ন ফাইল পত্র, ডেটা ইত্যাদি এক কম্পিউটারের থেকে অন্য কম্পিউটারে দ্রুত গতিতে(Swiftly) এবং খুব কম সময়ে আদান করা যায়। 

এই সর্বাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে মানুষের কাজের গতিকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা যেমন ব্যক্তি পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছে তেমনি ব্যবসায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এতে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন তথ্যাদি সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মুহুর্তের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এই তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মাধ্যম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
 
যেমন- ই-মেইল, ল্যান শেয়ারিং, অনলাইন ব্যাংকিং সহ বিভিন্ন মাধ্যম। এতে করে মানুষের পরিশ্রমের পরিমাণ কমেছে, খরচ কমেছে, সময় বেঁচেছে। এই যোগাযোগ ( Communication ) স্থাপনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে আর তাতে অনেক লোকের নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আবার এর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সোস্যাল মিডিয়া, সফটওয়্যার, এ্যাপস ইত্যাদি উদ্ভাবন করেছে।

 সেখানেও আবার নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ক্রেতা এবং ভোক্তা দুই জন-ই লাভবান হয়েছে আবার শ্রমিক কর্মীরাও। নিচে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট (Computer Network) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহুল আজিজ। 
 
Computer Network, Local Area Network, Wide Area Network, Lan, Man, Pan, Wan, Personal Area Network; Wifi Router, Switch<

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট ব্যবহার বা উদ্দেশ্য (Use of computer network or internet)
১. তথ্য বিনিময় (information sharing) : নেটওয়ার্ক সংযোগকৃত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
 
২. হার্ডওয়্যার রিসোর্স  শেয়ারিং (Hardware Resource Sharing) : এক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্য কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা যায়। যেমন- মডেম, প্রিন্টার ইত্যাদি হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং এর মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারের প্রিন্টার মডেম ইত্যাদি আরেক কম্পিউটারের ব্যবহার করা যায়। এতে করে খরচ ও বাঁচে। 
 
৩. সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং ( Software Resource Sharing ) : নেটওয়ার্ক সংযোগকৃত এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের সফটওয়্যার এবং অন্যান্য তথ্যাদি শেয়ার করা যায়। 
 
৪. তথ্য সংরক্ষণ ( Information Preservation) : নেটওয়ার্ক (Network) সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে একটি কেন্দ্রিয় স্টোরেজ মিডিয়ার মাধ্যমে ডাটা বা তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। এর ফলে কোন ডাটা হারানোর কোন সম্ভাবনা থাকে না। 
 
৫. নিরাপত্তা (Security) : এসব তথ্য পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা যায়। ফলে অ-অনুমোদিত কোন ব্যবহারকারী উক্ত তথ্য ভান্ডারে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে তথ্যাদি নিরাপদে রাখা যায়। 
 
৬. দূরবর্তী স্থান থেকে ব্যবহার : (Remote Use) : উক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং (Computer Networking) ব্যবস্থায় যুক্ত হয়ে বহু দূরে বসেই অফিসের কাজ এবং ব্যক্তিগত যেকোন কাজ করা যায়। এতে করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং (Computer Networking) ব্যবস্থা পৃথিবীকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। যেমন- এই লেখা গুলি যখন লিখছি তখন আমার প্রতিষ্ঠানে বসেও লিখতে পারি আবার বাড়িতে বসেও লিখতে পারি। 
তবে এই লেখাটি বাড়ি বসেই লিখেছি। এই কাজটি আমি শহরে গ্রামে, আম তলা, জামগাছ তলা, শীতের দিনে রোদে , রোদের দিনে গাছের ছায়াতে বসে বসে লিখতে পারি। শুধু আমার দরকার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থা। 
৭. মেসেজ আদান-প্রদান (Message Exchanging ) : নেটওয়ার্ক যুক্ত কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদান করা যায় বিধায় অফিসকে কাগজ বিহীনে পরিণত করা যায়। 
৮. অফিস অটোমেশন (Office Automation) : এর মাধ্যমে অফিস অটোমেশন (Office Automation) সিস্টেম (System) করা যায়। এতে লেনদেনের কাজ, ডাটা প্রোসেসিং (Data Processing), রিপোট তৈরি (Report Processing), Controlling, Updating etc. 
৯. সার্ভারের সাথে যুক্ত হওয়া : সার্ভারের সাথে যুক্ত হওয়া যায় এবং সার্ভার এপ্লিকেশনের কাজ করা যায়। 
কম্পিউটার নেটওয়ার্কি (Computer Networking) এর অসুবিধা সমূহ : নিচে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং অসুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো :  ১. ব্যয় বহুল (Costly) : নেটওয়ার্কি সিস্টেম চালু করা রক্ষণাবেক্ষণ অনেক ব্যয় বহুল।  ২. শক্ত নিরাপত্তা না থাকলে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  ৩. এটা বাস্তবায়নের ফলে এটা রক্ষণাবেক্ষণ  করতে হয় এবং দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন পড়ে। 
< h3>কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ (Classification of Computer Network) : নিম্নে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ  বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:  মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক : মালিকানা অনুসারে নেটওয়ার্ক দুই প্রকার। যেমন- ক. ব্যক্তিমালিকানা নেটওয়ার্ক (Private Network) খ. পাবলিক নেটওয়ার্ক (Public Network)  * ব্যক্তি মালিকানা নেটওয়ার্ক নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে থাকে।  * পাবলিক নেটওয়ার্ক (Public Network) : এই শ্রেণীর নেটওয়ার্ক (Public Network) পাবলিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে (According to Global Area) : ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে (According to Global Area) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক চার প্রকার। যেমন-  ক. PAN (Personal Area Network- প্যান বা পার্সনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)  খ. LAN (Local Area Network - ল্যান বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ) গ. MAN (Metropolitan Area Network - ম্যান বা মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক) ঘ. WAN (Wide Area Network - ওয়ান - ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক)
ক. PAN (Personal Area Network- প্যান বা পার্সনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) : এই শ্রেণীর নেটওয়ার্ক পার্সনাল বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর দ্বারা পার্সনাল পর্যায়ে ডাটা আদান-প্রদান করা হয়ে থাকে। খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। 
দ্রুত ডাটা আদান প্রদান করতে পারে। এটি দ্বারা ওয়ারলেস পার্সনাল নেটওয়ার্ক WPAN (Wireless Personal Personal Network) তৈরি করা যায়। এধরণের নেটওয়ার্ক যেকোন স্থানে স্থাপন করা যায়। এর বিস্তৃতি মাত্র কয়েক মিটারের মধ্যেই সীমা বদ্ধ থাকে এবং এটি USB এর মাধ্যমে কানেশন করা যায়। 
খ. LAN (Local Area Network - ল্যান বা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ) : এই শ্রেণীর নেটওয়ার্ক একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা একটি ভবনের মধ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি সীমিত সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর ডাটা ট্রান্সফার গতি ১০ থেকে ১০০০ মেগাবিট (Mega bit) হতে পারে। 

এর ডাটা ট্রান্সফার গতি সাধারণত কম হতে পারে। এর রক্ষণাবেক্ষণ, সংযোগ স্থাপন খরচ কম হয়ে থাকে। এটি তার বিহীন বা তার ছাড়া ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি একক মালিকানাধীন বা কিছু সংখ্যক লোক বা ক্যাম্পাসের এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারে।
 গ. MAN (Metropolitan Area Network - ম্যান বা মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক) ; কোন অর্গানাইজেশন (Organization) বা সংস্থা ব্যবহার করে থাকে। এই শ্রেণীর নেটওয়ার্ক বড় শহরের মধ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং কত গুলি ল্যান সংযোগর মাধ্যমে পুরো একটি শহরকে যুক্ত করতে পারে ও এর বিস্তৃতি ১০ থেকে ৩০ কিলোমিটার হতে পারে অর্থ্যাৎ কোন বড় আকারের এলাকা হতে পারে। এর ডাটা ট্রান্সফার রেট (Data Transfer Rate) দ্রুত গতির এবং খরচ ও কম হয়ে থাকে। এই নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে বেশি পরিমাণ ডাটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে। 
ঘ. WAN ( Wide Area Network - ওয়ান - ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক) : WAN (Wide Area Network - ওয়ান - ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক)  এটি সাধারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটির দ্বারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডাটা ট্রান্সফার, ই-মেইল পাঠানো, ডাউনলোডিং, অনলাইন শপি ইত্যাদি বিরাট আকারের কাজ করা হয়। 
এটি নির্ভর করে ফিজিক্যাল লাইন (Physical Line), অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল (Fiber Optical Cable), স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন (Satellite Transmission)  এবং মাইক্রোওয়েব ট্রান্সমিশন (Micro Web Transmission) ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। 
এটির দ্বারা তথ্য, পত্র-পত্রিকা, বই ইত্যাদি সংগ্রহ এবং ব্যবহার করা যায়। বিশ্বের যে কোন স্থানে ই-মেইল প্রেরণ করা যায়। ক্লাউড কম্পিউটিং সুবিধা পাওয়া যায়। অলাইন শপিং সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত এবং সমষ্টিগত বুলেটিন তৈরি করা যায়। কম খরচে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অডিও ও ভিডিও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। সর্বপরি, এক টেবিলে বসে নেটওয়ার্ক বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করা যায়। 
LAN এর শ্রেণী বিভাগ :  ক. ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network) খ. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ( Peer to Peer Network ) গ. মিশ্র বা হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network) 
ক. ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network) : ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network) নেটওয়ার্ক এক বা একাধিক ডেডিকেটেড সার্ভারের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। প্রিন্ট ম্যাসেজ, ফাইল, ডাটাবেস, এপ্লিকেশন ইত্যাদি এর কাজ।
খ. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ( Peer to Peer Network ) : এই শ্রেণীর নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে প্রতিটি পিসি বা কম্পিউটার সমান ভূমিকা পালন করে এবং এর কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে না। ফলে প্রতিটি পিসি বা কম্পিউটার ডাটার নিরাপত্তার জন্য নিজেই দাবী থাকে। কারণ, এটি অন্যদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। 
গ. মিশ্র বা হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network)  এই সিস্টেম  ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network)  এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ( Peer to Peer Network )  এর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। এটি সরাসরি সংযোগ স্থাপন না করে বিশেষ একটি স্থানে স্থাপন করার পর স্থাপন করা হয়ে থাকে। ফলে একটি গতিশীল সংযোগ স্থাপন করা যায়। 
নেটওয়ার্কিং এর যন্ত্রপাতি বা মৌলিক উপাদান - নিচে নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :  ১. নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড : নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড সাধারণত কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর স্লটে বসানো থাকে। এটির দ্বারা বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে সংযোগ স্থাপনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং একটি করে অদ্বিতীয় কোড নম্বর থাকে। ঐ কোড নম্বরের ভিত্তিতে কম্পিউটার টু কম্পিউটার সংযুক্ত করা হয়। এই কোড নম্বরকে ম্যাক আইডি (Mac ID) বলা হয়। 
২. মডেম (Modem) : Modulation শব্দের 'Mo' এবং Demodulation শব্দের 'Dem' শব্দদ্বয় নিয়ে 'Modem' শব্দটি গঠিত হয়েছে। নেটওয়ার্কিং এ মডেম (Modem) তথ্য আদান প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কম্পিউটার হতে যখন ইনফরমেশন (Information) মডেমে যায় তখন মডেম ডিজিটাল ইনফরমেশনকে এনালগ ইনফরমেশন এ রুপান্তর করে। 
আবার অপর প্রান্তের কম্পিউটারে এই এনালগ ইনফরমেশনকে ডিজিটাল ইনফরমেশনে রুপান্তর করে। এভাবেই মডেম কাজ করে থাকে। এছাড়াও মোবাইলের সিম (SIM - Subscriber Identify Module)  ব্যবহার করে ইন্টারনেট চালানো যায়। 
Computer Network, Local Area Network, Wide Area Network, Lan, Man, Pan, Wan, Personal Area Network; Internet Modem, Best Modem
৩. ইন্টারনাল মডেম (Internal Modem) : এই মডেম কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের এক্সপানশান স্লটে যুক্ত থাকে। এধরণে মডেমকে অ্যাকুস্টিক মডেম ও বলা হয়ে থাকে।   ৪. হাব (Hub) : হাব হলো নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলির মধ্যে সাধারণ একটি ডিভাইস। এটি দ্বারা ল্যানের কানেকশন গুলি যুক্ত করা হয়ে থাকে এবং তথ্য আদান- প্রদানের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। স্টারটপোলজির ক্ষেত্রে হাব (Hub) হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস। হাবের দাম তুলনামূলক ভাবে কম। 
৫. সুইচ (Switch) : সুইচ একটি বহু পোর্ট বিশিষ্ট নেটওয়ার্ক ডিভাইস যার মাধ্যমে সার্ভার, ওয়ার্ক ষ্টেশন, এবং বিভিন্ন পেরিফেরাল ডিভাইসকে যুক্ত করা যায়। সুইচের মাধ্যমের ডেটা প্রেরক নির্দিষ্ট প্রাপকের কাছে ডাটা প্রদান করতে পারে। ফলে এটি ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও এটি দ্বারা ভার্চুয়াল lan ব্যবহার করে ব্রডকাষ্ট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
৬. রাউটার (Router) : এটা একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি। যা দ্বারা লজিক্যাল এবং ফিজিক্যাল দুই বা ততোধিক সেগমেন্টের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান করতে পারে। রাউটার ইথারনেট, টোকেন, রিং ইত্যাদি সংযুক্ত করে তথ্যাদি ট্রান্সফার করতে পারে। 
৭. গেটওয়ে (Gateway) : এটি দ্বারা একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য একটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে পারে। এটি কমিউনিকেশন প্রোটকলের ডাটা ট্রান্সলেট করে অন্য প্রোটকলে পরিবর্তন করে কম্পিউটারকে যুক্ত করতে পারে। 
৮. রিপিটার (Repeater) : এটি তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য আদান ও প্রদানের জন্য এক ধরণের ডিভাইস বিশেষ। নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য রিপিটার (Repeater) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 
৯. ব্রিজ (Bridge) : এটি একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত একটি ডিভাইস বিশেষ। এই ধরণের ডিভাইস ল্যানের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্রিজ (Bridge) কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ক. লোকাল ব্রিজ (Local Bridge) : লোকাল ব্রিজ (Local Bridge) সংযোগ Lan এর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে।  খ. রিমোট ব্রিজ (Remote Bridge) : রিমোট ব্রিজ (Remote Bridge) ভৌগলিক বিচ্ছিন্ন অবস্থানের দুটি ল্যানকে যুক্ত করে।  গ. ওয়্যারলেস ব্রিজ (Wireless Bridge) : য়্যারলেস ব্রিজ (Wireless Bridge) একাধিক LAN অথবা দূরবর্তী ল্যানের সাথে যুক্ত করা থাকে। 
বন্ধুরা, আশা করি এই তথ্য গুলি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এই ইন্টারনেটের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হবেন ইনশাল্লাহ। আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। যাযাকাল্লাহ খায়েরান। 
Next Post Previous Post