হার্ডওয়্যার (Hardware) কি, হার্ডওয়ার কাকে বলে? হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ।

হার্ডওয়্যার (Hardware) কি, হার্ডওয়ার কাকে বলে, হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি?

 বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবোহার্ডওয়্যার (Hardware) কি, হার্ডওয়ার কাকে বলে, হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি ? কম্পিউটারের ক্ষেত্রে আমরা দুইটি দিক দেখতে পাই। তা হলো হার্ডওয়্যার (Hardware) ও সফটওয়্যার (Software)।  ইতিপূর্বে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। হার্ডওয়্যার হলো কম্পিউটারের বাহ্যিক অবকাঠামোগত যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকে হার্ডওয়্যার বলে।   আর  এই হার্ডওয়্যারকে পরিচালনার জন্য যেসব প্রোগ্রামের সমষ্টি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাই হলো সফটওয়্যার।
হার্ডওয়্যার হলো বডি (Body) বা শরীর আর সফটওয়্যার হলো আত্মা (Soul) ।   
এই অচল হার্ডওয়্যারকে সচল করার জন্য যেসব প্রোগামের সমষ্টি ব্যবহার করা  হয় তাই হলো সফটওয়্যার। মানুষের দেহ ও আত্মা যেমন একে অপরের উপর নির্ভরশীল।  ঠিক তেমনি কম্পিউটারের এই দুইটি ইউনিট বা অংশ দ্বারা সে রকমই বোঝানো যায়। একটি ছাড়া অন্যটা অচল। তাই দুইটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বহু নামে বিভিন্ন দামে নানা রকম হার্ডওয়্যার পাওয়া যায়। কোনটি কম দামী আবার কোনটি বেশি দামী। 
এবার আসুন, জেনে নেই বিভিন্ন প্রকারের কিছু হার্ডওয়্যারের সম্পর্কে  বিস্তারিত কিছু বিবরণ :  সিপিইউ বক্স (CPU BOX) বা সিস্টেম বক্স (System Box) :   সিপিইউ বক্স বা সিস্টেম বক্স   হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার গুলির একটি। এই বক্সের ভিতরেই যাবতীয় পার্টস পাতি থাকে এবং যাবতীয় কাজ সিপিইউ বক্স বা সিস্টেম ব   গঠিত। কম্পিউটারের যাবতীয় কার্য্যক্রম এখান থেকে পরিচালিত হয়। এর পিছনের দিকে ও সামনের দিকে বিভিন্ন প্রকার কানেক্টর সেট আপ করা আছে।   চিত্রঃ মাদারবোর্

যেমন- এর ভিতরেই প্রোসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণ হয়ে থাকে। এর ভিতর থাকে পাওয়ার মাদারবোর্ড বা মেইনবোর্ড (Motherboard or Mainboard), প্রোসেসর (Processor), র‌্যাম (RAM), হার্ডডিস্ক (Hard Disc), পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply), কুলিং ফ্যান (Cooling Fan), ডিভিডি রাইটার ( DVD Writter), বিভিন্ন প্রকার ক্যাবল (Cable) ইত্যাদি। এই সব কিছুর সমন্বয়ে সিপিইউ বক্স বা সিস্টেম বক্স
             CPU Box or System Box
সিপিইউ বক্স বা সিস্টেম বক্স পিছনে যেসব পোর্ট থাকে :        
ক. ভিজিএ পোর্ট: (VGA Port) : এই পোর্টের মাধ্যমে সিপিইউ বক্সের সাথে মনিটর বা প্রোসেক্টর (Projector)  ইত্যাদির সাথে কানেক্ট করে ভিডিও ইত্যাদি দেখা যায় ।         

খ. ‍ইউ. এস. বি পোর্ট (U. S. B Port) : এই শ্রেণীর পোর্টের মাধ্যমে কীবোর্ড (Keyboard), মাউস (Mouse), মনিটর (Monitor), প্রিন্টার (Printer), মডেম (Modem), ইন্টানেট (Internet), স্ক্যানার (Scanner), ল্যানকার্ড (LAN Card) ইত্যাদি বহু ধরণের ডিভাইস কানেক্ট করা যায়।
গ. এইচ. ডি. এম, আই পোর্ট (H. D. M. I Port) এই পোর্টের মাধ্যমে সিপিইউ বক্সের সাথে মনিটর বা প্রোসেক্টর (Projector)  ইত্যাদির সাথে কানেক্ট করে ভিডিও ইত্যাদি দেখা যায় ।
ঘ. প্যারালাল পোর্ট (Parallel Port) :  এই পোর্টের মাধ্যমে প্রিন্টার ও ফটো কপি মেশিনের সাথে কানেকশন করা যায়।         

ঙ. পাওয়ার সকেট (Power Socket) :  পাওয়ার সকেটের মাধ্যমের সিপিইউ এ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়।        
 চ. অডিও ইন (Audio In) :
 সাউন্ড (Sound), মিউজিক(Music), গান (Song), কথা ইত্যাদি ইন বা প্রবেশ করার জন্য এই পোর্টর ব্যবহার করা হয়। 
ছ. অডিও আউট (Audio Out) :
সাউন্ড (Sound), মিউজিক(Music), গান (Song), কথা ইত্যাদি শোনার করার জন্য এই পোর্টর ব্যবহার করা হয়।

সিপিইউ বক্স বা সিস্টেম বক্স পিছনে যেসব পোর্ট থাকে : 

    ক) পাওয়ার অন সুইচ : 
    এই সুইচের মাধ্যমে কম্পিউটার অন করা যায়।       খ)  ‍ইউ. এস. বি পোর্ট (U. S. B Port) :
এই শ্রেণীর পোর্টের মাধ্যমে কীবোর্ড (Keyboard), মাউস (Mouse), মনিটর (Monitor), প্রিন্টার (Printer), মডেম (Modem), ইন্টানেট (Internet), স্ক্যানার (Scanner), ল্যানকার্ড (LAN Card) ইত্যাদি বহু ধরণের ডিভাইস কানেক্ট করা যায়।
    গ) ডিভিডি রাইটার :
ডিভিডি রাইটার  এর ভিতর সিডি বা ডিভিডি প্রবেশ করিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, তথ্যাদি, গান, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নেওয়া ও দেওয়া যায়।
    ঘ. অডিও ইন (Audio In) :
সাউন্ড (Sound), মিউজিক(Music), গান (Song), কথা ইত্যাদি ইন বা প্রবেশ করার জন্য এই পোর্টর ব্যবহার করা হয়।      ঙ. অডিও আউট (Audio Out) :
সাউন্ড (Sound), মিউজিক(Music), গান (Song), কথা ইত্যাদি শোনার করার জন্য এই পোর্টর ব্যবহার করা হয়।
    চ. রিস্টার্ট বাটন (Restart Button) :
কম্পিউটারে কোন সমস্যা দেখা দিলে রিস্টার্ট (Restart Button) প্রেস (Press) করে কম্পিউটার রিস্টার্ট করা যায়।
   ছ. পাওয়ার ইন্ডিকেটর বাল্প (Power Indicator Bulb) :
 কম্পিউটার চালু করলে লাল (Red) ও সবুজ (Green) দুটি পাওয়ার ইন্ডিকেটর বাল্ব গুলি টিপ টিপ করে জ্বলে।
   জ. ক্যাসিং (Casing) :
সিস্টেম বক্সের বা সিপিইউ বক্সের খোলটি বা যার ভিতর যাবতীয় পার্টস সমূহ থাকে সেটাই হলে ক্যাসিং।


২. মনিটর (Monitor) : 

    মনিটর আমরা সবাই চিনি। যার ভিতর প্রোগ্রাম, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি দেখা যায় তাই মনিটর। 
৩. কীবোর্ড (Keyboard) : যে হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে আমরা টাইপিং তথা লেখা লেখি করি এবং ফাংশন কী এর মাধ্যমে আরো নানা রকম কাজ করে থাকি তাই কীবোর্ড। 
৪. মাউস (Mouse) : মাউস মানে হলো নেংটি ইঁদুর। কম্পিউটারের সামনে যে হার্ডওয়ারটি থাকে এবং দেখতে ইঁদুরের মত এটি দিয়ে বহু রকম কাজ করা যায়। মাউস নাড়া চাড়া করলে কম্পিউটারের স্ক্রীনে (Screen) এর যে তীর চিহ্ন বা অন্য কোন চিহ্নের মত নড়া চড়া করে তাই মাউস। 
৫. প্রিন্টার মেশিন (Printer Machine) : ছবি (Picture), লেখা ইত্যাদি প্রিন্ট করার জন্য যে ডিভাইস বা হার্ডওয়্যারটি ব্যবহার করা হয় তাই হলো প্রিন্টার। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন ব্যান্ডের প্রিন্টার কিনতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে ক্যানন (Canon), এইপি (HP), ইপসন (EPSON) ইত্যাদি প্রিন্টার কিনতে পাওয়া যায়। 
৬. স্ক্যানার মেশিন (Scanner Machine) : এই মেশিন (Scanner Machine) দিয়ে ছবি, নকশা, লেখা ইত্যাদি স্ক্যান করে কম্পিউটারের ভিতরে প্রবেশ করা যায়। সেই ছবি, লেখা, নকশা ইত্যাদি প্রয়োজনে প্রিন্ট করা যায়, সংরক্ষণ করে রাখা যায়, ই - মেইল (E-Mail), আউট লুক (Outlook), ইয়াহু (Yahoo)  ফেসবুক (Facebook) , ম্যাসেঞ্জার, স্কাইপি (Skype), ট্যুয়েটার (Twitter), লাইকডদিন (Likedin), (প্রিন্টারেস্ট) Pinterest, ইনস্ট্যাগ্রাম (Instagram) এর মাধ্যমে দূরবর্তী কোন ব্যক্তির নিকট পাঠানো যায়।

যন্ত্রগুলির ( কত গুলি আলোচনা করা হলো। এবার যন্ত্রাংশ সমূহ  (Parts) সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক : 
১. মাদারবোর্ড  (Motherboard) :
 Motherboard বা মা বোর্ড কম্পিউটারের প্রধান যন্ত্রাংশগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। মাদারবোর্ডের সাথেই যাবতীয় যন্ত্রাংশ সেট করা থাকে। যতগুলি পোর্ট আছে প্রায় সবগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইস বা যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকে যুক্ত করা হয়।


২. প্রোসেসর (Processor) : 
কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্যাদি প্রোসেসরের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটা হলো কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট বা অংশ। ৩.  র‌্যাম (RAM) : RAM পূর্ণরুপ হলো Random Access Memory (র‌্যান্ডম এ্যাকসেস মেমরি). এটি একটি অস্থায়ী স্মৃতি। কম্পিউটারে যত ক্ষণ লেখা হয় তত ক্ষণ র‌্যাম লেখাকে ধরে রাখে। কিন্তু লেখা সেভ (Save) করলে লেখা গুলি হার্ড ডিস্কে চলে যায়।
৪. হার্ড ডিস্ক (Hard Disk) : হার্ডডিস্ক হলো একটি স্থায়ী স্মৃতি। এতে কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্যাদি, সিস্টেম সফটওয়্যারসহ সংরক্ষণ করা থাকে। হার্ড ডিস্কের সি ড্রাইভ (C Drive) বা লোকাল ডিস্ক ’সি’ তে অপারেটিং সিস্টেম বা সিস্টেম সফটওয়্যার থাকে। আর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি অন্যান্য লোকাল ডিস্কে সংরক্ষণ করা থাকে।
৫. ডিভিডি (DVD) : আগেই বলা আছে, ডিভিডির ভিতর সিডি বা ডিভিডি বা ডিস্ক ঢুকিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট, তথ্যাদি, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি নেওয়া ও দেওয়া যায়।
৬. পাওয়ার সাপ্লাই : (Power Supply) : পাওয়ার সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন যন্ত্রাংশে প্রয়োজন মাফিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে বেশ কিছু তার থাকে। এবং মাদারবোর্ডের বিভিন্ন সকেটের সাথে লাগানো হয়ে থাকে।
৭. কুলিং ফ্যান : (Cooling Fan) : কম্পিউটার চালালে প্রোসেসর খুব গরম হয়ে যায়। গরম বেশি হলে প্রোসেসর পুড়ে যেতে পারে তাই। প্রোসেসরকে ঠান্ডা রাখতে এর উপর একটি কুলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়। যত ক্ষণ কম্পিউটার চালু থাকে তত ক্ষণ এই কুলিং ফ্যান অনবরত ঘুরতে থাকে।
৮. গ্রাফিক্স কার্ড : গ্রাফিক্স কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করা হয়ে থাকে। এটা এক ধরণের মেমরি সিস্টেম। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে তাদের জন্য গ্রাফিক্স কার্ড জরুরী দরকার। এছাড়া মোবাইলের এ্যাপস ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
৯. ল্যান কার্ড (LAN CARD) : কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের সাথে যে ল্যান পোর্টটি থাকে সেটা ব্যবহার করা হয় ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য। কিন্তু সেই পোর্ট যদি নস্ট হয় তবে এক্সট্রা (Extra) ভাবে ল্যান কার্ড লাগানো যায়। আবার USB LAN Card ও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সেটা দিয়েও কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া যায়। দাম ও কম।
১০. অডিও কার্ড : মাদারবোর্ডের সাথে থাকা অডিও পোর্টটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে আলাদা ভাবে অডিও কার্ড লাগানো যায়। তবে, USB Card ও বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
১১. মডেম : যেসব এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ নাই সেই সব এলাকায় মোবাইলের সিম মডেমে তুলে  কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন করা যায়। এতে যে কোন স্থানে বসে ইন্টারনেটে কাজ করা যায়। এটা বিনা তারে ইন্টারনেট কানেকশন সিস্টেম। এসব কাজ গুলি বিজ্ঞানের আর্শিবাদ।  বিজ্ঞান আমাদের জীবন কে করেছে সুখ- স্বাচ্ছন্দময়, আনন্দময়, জ্ঞানময়। আর সব জ্ঞানীর সেরা জ্ঞান আল্লাহ পাক রাব্বুল আ’লামীন। তিনিই সর্বময় জ্ঞানের অধিকারী।যিনি পরম করুণাময়।

উপরোক্ত হার্ডওয়্যার ছাড়াও আরো অনেক ধরণের হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা যায়।

ধন্যবাদ বন্ধুরা আমাদের ওয়েব পেজে ভিজিট করার জন্য। যাযাকাল্লাহ খায়রান। আমিন। সুম্মা আমিন।



       

 

Camping Lanterns Protable Flashlights Led Night Light Portable Emergency Searchlight Hanging Light for Outdoor Camping Hiking,Fishing

Buy Now

ঘরে বসেই তৈরি করুন নির্ভজাল দই।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা।
কারণ, আপনি নিজের হাতেই তৈরি করবেন।
আপনি যা দিয়ে তৈরি করবেন তাই হবে।