স্যাটেলাইট কি
স্যাটেলাইট কি? স্যাটেলাইট কাকে বলে?
উত্তরঃ
আজকে আমরা আলোচনা করব স্যাটেলাইট কি বা
স্যাটেলাইট কাকে বলে ? আমরা সবাই জানি
যে, ইন্টারনেট শুধু একটি প্রতিষ্ঠান, একটি শহরে বা এই দেশের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়। ইন্টারনেট
এখন সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে আছে। তাই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে যেকোন প্রান্তে নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সিগনাল পাঠানোর প্রয়োজন
হয়। নিকটতম স্থানে হলে বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে পাঠানো যায়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী তথ্য
আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট বা
অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে পাঠাতে হয়।
ঘুরে, তাই এটিকে মহাকাশে রাখার জন্য কোন জ্বালানি অথবা শক্তি খরচ করতে হয় না।
পৃথিবী তার অক্ষে চব্বিশ ঘন্টায় ঘুরে আসে, স্যাটেলাইটকেও যদি ঠিক 24 ঘন্টা এক বার পৃথিবীর
চার পাশে ঘুরে আসে। কিন্তু দেখলে মনে হয়ে স্যাটেলাইট এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে। এই শ্রেণীর
স্যাটেলাইট কে
Geo stationary satellite
এই
স্যাটেলাইট (Geo stationary satellite) পৃথিবীতে থেকে 36 হাজার কিলোমিটার দূরে রাখায় হয়। এখন প্রশ্ন করতে পারো,
স্যাটেলাইটটি এত দূরে রাখা হয় কেন? উত্তর হবে, ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে রাখলে পুরো
পৃথিবীর চার পাশ দেখা যায়। উল্লেখ্য যে, এই শ্রেণীর স্যাটেলাইট যেখানে সেখানে রাখা
যায় না।
স্যাটেলাইট পৃথিবীর এক পাশ থেকে তথ্য গ্রহণ করে পৃথিবীর অন্য পাশে তথ্য পেরণ
করে।
স্যাটেলাইটের
এই পদ্ধতির মাধ্যমে পৃথিবীর এক পাশ থেকে অন্য পাশে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, রেডিও এবং ইন্টারনেট সিগনাল পাঠানো যায়। জিও ষ্টেশনারি স্যাটেলাইট 1964 সালে প্রথম স্থাপন করা হয়। এতে তথ্য আদান-প্রদানের
ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।
গত
২০১৮ সালের ১২ই মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নামে একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করা
হয়। এতে স্যাটেলাইট প্রেরণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম যোগ হলো। স্যাটেলাইট
প্রদান কারীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ৫৭তম।
এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মাধ্যমে
বাংলাদেশের এক নতুন যুগের সূচনা হয়। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে নি:সন্দেহে
অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
স্যাটেলাইট
তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের মাধ্যম। এটি দ্বারা তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে
বড় ধরনের এন্টেনার দরকার হয়। এর মাধ্যমে ওয়্যারলেস সিগনাল পাঠানো যায়। এই সিগনাল পাঠাতে
কিছুটা দেরি হয়। তবে, এটা তেমন কোন সমস্যা নয়।
স্যাটেলাইট ছাড়াও অপটিক্যাল ফাইবার এর
মাধ্যমেও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।আগামীতে আমরা আলোচনা করবো অপটিক্যাল ভাইবার কি বা অপটিক্যাল ফাইবার কাকে বলে?
বর্তমান
সরকার দেশে প্রায় ১৮টি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন
হলো। যেমন- ১। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
২। পদ্মা সেতু
৩। পায়রা সমুদ্র বন্দর
পদ্মা
সেতুর মাধ্যমে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার আয় করছে।
আর পায়রা সমুদ্র বন্দর তৈরি করার
কয়েক মাসের মধ্যে ১৭২ কোটি টাকা আয় করেছে। বাকি ১৫টি বাস্তবায়ন হলে দেশ অনেক উন্নত
হবে ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ৩০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
পরিশেষঃ
পরিশেষে বলা যায়, স্যাটেলাইট তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বড় একটি মাধ্যম। যা দিয়ে
পৃথিবী ব্যাপী যোগাযোগ করা যায়। এতে ব্যক্তিগত প্রয়োজন ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন
প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যায়।
আর এই প্রকল্প তে কাজের জন্য কমসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আবার
তথ্য আদান-প্রাদানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করি, স্যাটেলাইটের
এই আলোচনায় অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্য।